বাংলাদেশ উন্মোক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) স্কুল অব এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট পরিচালিত ৪ বছর মেয়াদি ‘ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন এগ্রিকালচার (বিএসসিএজি)’ ডিগ্রি প্রদানের প্রতিবাদে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর জানায়, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কে ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার বেলা ১টায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, সিলেট জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক ড. সালাহ উদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি কৃষিবিদ মোঃ সাজিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদসভায় বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূর হোসাইন মিঞা, প্রফেসর ড. এ.এফ.এম সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাশেম, প্রফেসর ড. মোঃ ছিদ্দিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. এম. আসাদ-উদ-দৌলা, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন, প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আলমগীর, ডাঃ ঋত্বিক দেব অপু, কৃষিবিদ আশিকুর রহমান আশিক, কৃষিবিদ মোঃ এমাদুল হোসেন প্রমুখ।বক্তারা জানান, উন্মোক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশেষ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়, যার মান অত্যন্ত নিম্নমানের। মাসে দুইদিন তাও অনলাইনে ক্লাস হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন এগ্রিকালচার (বিএসসিএজি)’ ডিগ্রি প্রদান করা হলে গ্রাজুয়েটদের মান অত্যন্ত নিম্নমানের হবে। বক্তারা আরো বলেন, সম্পূর্ণ প্রায়োগিক বিষয়ের কৃষি ডিগ্রি অনলাইনে দেবার বিষয় না। শিক্ষার্থীদের মাঠে হাতে কলমে বৈজ্ঞানিক উপায়ে শিক্ষাদান করতে হয়। সুতরাং উন্মোক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কোর্স খুললে কৃষিবিদদের মান মর্যাদা ভূলুন্ঠিত হবে। তারা জানান, কৃষিবিদ গ্রাজুয়েট বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে, বাংলাদেশে আরো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। দরকার হলে বর্তমানে যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে সেখানে সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে আরো বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যেতে পারে। বক্তারা, অবিলম্বে উন্মোক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কৃষিতে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করা আহ্বান জানান, এবং সেটি না হলে পরবর্তীতে বাংলাদেশের সকল কৃষিবিদদের সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।