News
১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। প্রশাসন ভবনের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে অফিসার পরিষদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। অফিসার পরিষদের সভাপতি মোঃ বদরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এক বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর জামাল উদ্দিন বলেন, “দিনটি আমাদের জন্য আনন্দের। কারণ স্বাধীন হবার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশকে অপূর্ণ লাগছিলো। তিনি ছিলেন সময়ের সাহসী নেতা। তৎকালীন প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কূটনৈতিক তৎপরতার যেমন প্রশংসা করেন তেমনি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে প্রথমবারের সাক্ষাতেই বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। মূলত লন্ডন থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তনকালে বিমানের মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি, যা তার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দূরদর্শিতাই প্রমাণ করে।” উল্লেখ্য ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের লগ্নে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতে বঙ্গবন্ধু কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি জানতে চান, পাকিস্তানি হানাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বুক মিলিয়ে একত্রে যুদ্ধ করা ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশ ত্যাগ করবে কবে? বঙ্গবন্ধুর অদম্য নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই সেদিন ভারতীয় সেনাদের দ্রুত ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ইন্দিরা গান্ধী।
এদিকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ (গশিপ) বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুল দিয়েছে। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। গশিপের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু জাফর ব্যাপারীর সঞ্চলনায় সে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গশিপের নব নির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম। এর আগে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, সিকৃবি শাখা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ বদরুল ইসলামসহ, সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান এবং ১০ জানুয়ারি দিল্লি হয়ে ঢাকা ফেরেন।