News
বর্তমানে ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতি বেশ সম্ভাবনাময়। যদিও বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ অথবা জীবজগৎ বিষয়ে যতটা গবেষণা হয়েছে, সমুদ্রের ভৌত, রাসায়নিক এবং ভূতাত্তি¡ক বিষয়ে এখনো ততটা গবেষণা হয়নি। বঙ্গোপসাগর সম্পর্কিত বহু বিষয় এখনো অজানা। এবার সমুদ্র নিয়ে যৌথ গবেষণায় নামছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কৃষি শিক্ষার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) এবং ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। ইতোমধ্যে সমুদ্রবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সিকৃবি ও ঢাবি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। সিকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর জানায়, ৩ সেপ্টেম্বর (রবিবার) ঢাবির প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এই সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং সিকৃবির রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম। সমুদ্রবিজ্ঞান নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চুক্তি গবেষণাখাতে নতুন আশার সঞ্চার করলো। উভয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ল্যাবরেটরি সুবিধা, বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম ও তথ্য-উপাত্ত বিনিময় করবে। এছাড়া এই চুক্তির আওয়তায় যৌথভাবে বৈজ্ঞানিক সেমিনার, কর্মশালা, সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে ঢাবি ও সিকৃবি। সিকৃবি থেকে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু, উপকূলীয় ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. মোস্তফা সামছুজ্জামান এবং একই বিভাগের শিক্ষক ড. পার্থ প্রতীম বর্মন। চুক্তি অনুষ্ঠানের সমন্বয় করেছেন বহিরাঙ্গন কার্যক্রম দপ্তরের পরিচালক ড. তিলক চন্দ্র নাথ। উল্লেখ্য বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক অর্থনীতি, যোগাযোগ ও পরিবহন, টেকসই উন্নয়ন ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রের সঙ্গে সমুদ্র ভীষণভাবে জড়িত। ক’বছর আগেই বাংলাদেশ আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে নির্দিষ্ট সমুদ্রসীমা অর্জন করেছে। এখন এই বিশাল বঙ্গোপসাগরের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন গবেষণা ও দক্ষ জনশক্তি। এই লক্ষ্যে এখন থেকে সমুদ্রবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করবে সিকৃবি ও ঢাবি।