News
সিলেট
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) নানা আয়োজনে বিশ্ব মৌমাছি দিবস পালিত হয়েছে। ২০ মে (মঙ্গলবার)
বিশ্ব মৌমাছি দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। সিকৃবি ভিসি প্রফেসর
ড. মোঃ আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যালিটি সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কৃষি অনুষদের
সামনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, দপ্তর প্রধান, হল প্রভোস্টসহ শিক্ষক,
কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। পরে দিবসটির প্রতিপাদ্য নিয়ে
মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কীটতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী
প্রফেসর ড. কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় এবং প্রফেসর ড. মোঃ ফুয়াদ মন্ডলের সভাপতিত্বে
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবি’র
ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও হিসাব
শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ রুহুল আমিন, ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল
ইসলাম ।
অনুষ্ঠানে
বক্তারা বলেন, দেশে মৌমাছি চাষের
বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এটি শুধু মধুর
উৎপাদন বাড়াবে না, কৃষি ফসলের
উৎপাদনও ২৫-৩০ শতাংশ
পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে। তারা বলেন, দৈনিক ১০ গ্রাম মধু
খেলে দেশের বার্ষিক চাহিদা ৪০ হাজার টন
হতে পারে। বর্তমানে দেশে মধুর বার্ষিক
বাজারমূল্য ১ হাজার ২০০
থেকে ১ হাজার ৫০০
কোটি টাকা। ২০২৪ সালে প্রাকৃতিক
ও চাষ থেকে ২০-২৫ হাজার টন
মধু সংগ্রহ করা হয়। যথাযথ
উদ্যোগ নিলে দেশের মধুর চাহিদা পূরণ করে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ
অন্য দেশগুলোতে রপ্তানি করা সম্ভব। মধু নিয়ে
সচেতনতা বাড়াতে গবেষক, চাষি, উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তার মাঝে
সেতুবন্ধন বাড়াতে হবে।
প্রধান
অতিথির বক্তব্যে সিকৃবি ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতির জন্য মৌমাছি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ, জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা ও টেকসই জীবিকার
জন্যও মৌমাছি পালন করা দরকার।
মধু শর্করা জাতীয় খাদ্য হলেও বিভিন্ন প্রকার
ভিটামিন, এনজাইম ও খনিজ পদার্থ
থাকে। একে সব রোগের
মহৌষধ বলা হয়। মৌমাছি পরাগায়ণ
প্রক্রিয়ায় সহায়তা দানের মাধ্যমে ফল ও ফসলের
উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে। প্রকৃতির
জন্য মৌমাছি সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি।
মৌমাছি পালনকে কুটির শিল্প হিসেবে গ্রহণ করলে অনেক বেকারের
কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বাড়তি
আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।