Upcoming Conference/Events

Pages

News

News Details
সিকৃবিতে লেট্স টক উইথ ভাইস-চ্যান্সেলর
Tuesday, 19-December-2023 [09:12:50]

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দিলেন। বিজয় দিবসের বিকেলে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে স্থাপিত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো “লেটস টক উইথ ভাইস-চ্যান্সেলর” শিরোনামে অনুষ্ঠান। সিকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা খলিলুর রহমান ফয়সালের পরিচালনায় দুই ঘন্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। দুপুর ৩টা থেকেই বিভিন্ন হল থেকে সিকৃবির শিক্ষার্থীরা লেট্স টক-এর দর্শক আসনে আসতে শুরু করে। শিক্ষার্থীরা করতালির মাধ্যমে ভাইস-চ্যান্সেলরকে স্বাগত জানান। তারপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রম, গবেষণা সংক্রান্ত, আবাসিক হলের সমস্যা থেকে শুরু করে, পরিবহন ব্যবস্থা, শিক্ষার মানোন্নয়ন, এমনকি পরীক্ষা পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা-কে প্রশ্ন করেন। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, কিছু সমস্যার সমাধান মঞ্চে বসেই করে দিয়েছেন। উক্ত অনুষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সৃষ্টিশীল আইডিয়া গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে “লেট্স টক উইথ ভাইস-চ্যান্সেলর” অনুষ্ঠানটি ক্যাম্পাসে সাড়া ফেলেছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে এ ধরনের অনুষ্ঠান ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ বলে অনেকে মনে করছেন। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন প্রশ্নের পর মুহুর্মুহু করতালি অনুষ্ঠানটিকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলে। সিকৃবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসে প্রায় ২০০০ জন শিক্ষার্থী আছে, মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর স্যারও বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন। তাই সকল শিক্ষার্থী ভিসি স্যারের দপ্তরে এসে নিজেদের মনের কথা সরাসরি বলার সুযোগ পায় না। এরকম একটি পরিবেশে এ ধরনের অনুষ্ঠান একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমি মনে করি বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ জামাল উদ্দিন ভূঞার সে ধরনের সৎসাহস আছে বলেই তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে সরাসরি আসতে পেরেছেন। এমনকি আজকের অনুষ্ঠানের পর সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিয়ে একটি কমফোর্ট জোন তৈরি হলো।” প্রফেসর আতিকুজ্জামান বাংলাদেশের প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের জন্য এধরনের অনুষ্ঠান করার পরামর্শ দিয়েছেন।